বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করার পর ৩রা মার্চ শুনা যায় ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন। ইয়াহিয়া খান ১ লা মার্চ পূর্ব ঘোষিত অধিবেশন অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করেন। প্রতিবাদে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সকল সরকারি কার্যক্রম প্রায় অঞ্চল হয়ে পড়ে। হরতাল চলাকালে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গুলিতে বহুলোক হতাহত হয় ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন ৩রা মার্চ, ১৯৭১। এমন পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বিশাল এক জনসভায় ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এ ভাষণে তিনি স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে সকল বাঙালিকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে আহ্বান জানান।
কুষ্টিয়া
যশোর ও সিলেট
রংপুর ও দিনাজপুর
ময়মনসিংহ
জহির রায়হান
বাবুল চৌধুরী
রবার্ট রজার্স
বিনয় রায়
১ মার্চ, ১৯৭১
২রা মার্চ, ১৯৭১
৩ মার্চ, ১৯৭১
৪ মার্চ, ১৯৭১
৬ মার্চ, ১৯৭১
৭ মার্চের ভাষণ
৮ মার্চ, ১৯৭১
৯ মার্চ, ১৯৭১
১২ মার্চ, ১৯৭১
১৩ মার্চ, ১৯৭১
১৪ মার্চ, ১৯৭১
১৫ মার্চ, ১৯৭১
১৬ মার্চ, ১৯৭১
১৭ মার্চ, ১৯৭১
১৮ মার্চ, ১৯৭১
১৯ মার্চ, ১৯৭১
২২ মার্চ, ১৯৭১
২৩ মার্চ, ১৯৭১
২৪ মার্চ, ১৯৭১
২৫ মার্চ, ১৯৭১
৭ মার্চের ভাষণ
শব্দ সংখ্যা ১১০৮ টি।
২৫ মার্চ, ১৯৭১
অপারেশন সার্চ লাইট
অপারেশন জ্যাকপট
অপারেশন ব্লিজ
২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর হাতে ক্ষমতা না দিয়ে বরং সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে সামরিক শাসনে ফিরে যাওয়ার যে ষড়যন্ত্র তা অপারেশন ব্লিজ নামে পরিচিত।
অপারেশন বিগ বার্ড
অপারেশন কিলো ফ্লাইট
অপারেশন চেঙ্গিস খান
৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভারতের ওপর যে বিমান হামলা চালায় তার সাংকেতিক নাম ছিল ‘অপারেশন চেঙ্গিস খান’ ।
অপারেশন ক্যাক্টাস লিলি
৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে যৌথবাহিনী পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে একযোগে যে আক্রমন করে তার নাম ছিল অপারেশন ক্যাক্টাস লিলি।
অপারেশন ক্লজডোর
মুক্তিযুদ্ধের সময় সারাদেশে মানুষের কাছে যে অবৈধ অস্ত্র ছিল তা জমা নেওয়ার জন্য যে অভিযান পরিচালিত হয় তা অপারেশন ক্লোজডোর নামে পরিচিত।
স্বাধীনতার ঘোষণা
পাক বাহিনী অপারেশন সার্চ লাইট অভিযান শুরু করে- ২৫ মার্চ রাত ১১:৩০ মিনিটের দিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন পরিস্থিতিতে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেন ওয়্যারলেসের মাধ্যমে ২৫ মার্চ রাত্রি বারোটার পর অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে । মূলত এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। ২৬ মার্চের বঙ্গবন্ধুর জারি করা মূল ঘোষণাটি ছিল- ইংরেজিতে।
২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণার স্বরূপ—
ইহাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছো, যাহার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো । পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।"
জেনে নিই
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র নিয়ে কিছু তথ্য
মুজিবনগর সরকার (যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার বা প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার নামেও পরিচিত) মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল জনগনের রায়ে নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল এই সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে (বর্তমান মুজিবনগর) শপথ গ্রহণ করেন।
জেনে নিই
নাম | পদমর্যাদা |
---|---|
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (গোপালগঞ্জ) | রাষ্ট্রপতি [মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক] |
সৈয়দ নজরুল ইসলাম(কিশোরগঞ্জ) | উপ-রাষ্ট্রপতি (রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি) |
তাজউদ্দীন আহমেদ (গাজীপুর) | প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, স্থানীয় প্রশাসন, অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, তথ্য ও বেতার, স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণ। |
খন্দকার মোশতাক আহমেদ (কুমিল্লা) | পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। |
ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী (সিরাজগঞ্জ) | অর্থ, জাতীয় রাজস্ব, বাণিজ্য, শিল্প ও পরিবহন মন্ত্রণালয়। |
এ.এইচ.এম. কামরুজ্জামান (রাজশাহী) | স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন এবং কৃষি মন্ত্রণালয় । |
কর্নেল (অব.) এম.এ.জি. ওসমানী (সিলেট) | সেনাবাহিনী প্রধান (মন্ত্রীর পদমর্যাদা)। |
কর্নেল (অব.) এ. রব | সেনাবাহিনীর উপপ্রধান-চীপ অব স্টাফ। |
গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার | ডেপুটি চিপ অব স্টাফ |
মুজিবনগর সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদ (৮ সদস্য বিশিষ্ট)
জেনে নিই
মুজিবনগর মন্ত্রণালয়: মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ছিল- ১২টি। যথাঃ প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়, সাধারণ প্রশাসন, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ বিভাগ, ত্রাণ ও পুর্নবাসন বিভাগ, প্রকৌশল বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন, যুব ও অভ্যর্থনা ।
কুটনৈতিক মিশন: প্রথম কূটনৈতিক মিশন স্থাপিত হয়- কলকাতাতে মুক্তিযুদ্ধকালীন যুক্তরাজ্যের মিশন প্রধান ছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, নয়া দিল্লির হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্রের এম আর সিদ্দিকি। বাংলাদেশের প্রতি প্রথম আনুগত্য ও পতাকা উত্তোলন করেন কলকাতাস্থ পাকিস্তান মিশনের ডেপুটি কমিশনার হোসেন আলী (১৮ এপ্রিল, ১৯৭১)।
ব্রিগেড ফোর্স | কমান্ডার | সদর দপ্তর |
---|---|---|
Z ফোর্স | লে. কর্নেল জিয়াউর রহমান | তেলঢালা |
S ফোর্স | লে. কর্নেল কে এম শফিউল্লাহ | হাজামারা |
K ফোর্স | লে. কর্নেল খালেদ মোশারফ | আগরতলা |
ছাত্র, যুবক, কৃষক-শ্রমিক ও সকল পর্যায়ের মুক্তিকামী যোদ্ধাদের নিয়ে বিভিন্ন সেক্টরের অধীনে অনিয়মিত বাহিনী গঠিত হয়। এই বাহিনীর সরকারি নামকরণ করা হয় গণবাহিনী বা মুক্তিযোদ্ধা (FF) |
মুজিব বাহিনী (BLF)
Bangladesh Liberation Front (BLF) ১৯৭১ সালের নিয়মিত ও অনিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে মুজিববাহিনী' গঠিত হয়। সমগ্র বাংলাদেশকে ৪টি রাজনৈতিক যুদ্ধাঞ্চলে বিভক্ত করে প্রায় ১০,০০০ ছাত্রকে নিজ নিজ এলাকার ভিত্তিতে সর্বাত্মক প্রতিরোধমুখী অবস্থান নেয়ার জন্য প্রেরণ করা হয়।
বাহিনীর নাম | অঞ্চল |
---|---|
কাদেরিয়া বাহিনী | টাঙ্গাইল |
হালিম বাহিনী | মানিকগঞ্জ |
হেমায়েত বাহিনী | ফরিদপুর, বরিশাল |
আকবর বাহিনী | শ্রীপুর, মাগুরা |
লতিফ মীর্জা | সিরাজগঞ্জ, পাবনা |
বাতেন বাহিনী | টাঙ্গাইল |
আফসার বাহিনী | ভালুকা, ময়মনসিংহ |
জিয়া বাহিনী | সুন্দরবন |
ক্র্যাক প্লাটুন | ঢাকা |
মুজিব ব্যাটারি | গোলন্দাজ (ঢাকা) |
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
সেক্টর নং | দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার | সদর দপ্তর |
---|---|---|
সেক্টর- ০১ | মেজর জিয়াউর রহমান (এপ্রিল-জুন) মেজর রফিকুল ইসলাম (জুন-ডিসেম্বর) | হরিনা, ত্রিপুরা |
সেক্টর- ০২ | মেজর খালেদ মোশাররফ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) মেজর হায়দার (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) | মেলাঘর, ত্রিপুরা |
সেক্টর- ০৩ | মেজর শফিউল্লাহ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) মেজর নুরুজ্জামান (সেপ্টম্বর-ডিসেম্বর) | কলাগাছি, ত্রিপুরা |
সেক্টর- ০৪ | মেজর সি আর দত্ত | করিমগঞ্জ, আসাম |
সেক্টর- ০৫ | মেজর মীর শওকত আলী | বাঁশতলা, সুনামগঞ্জ |
সেক্টর- ০৬ | উইং কমান্ডার খাদেমুল বাশার। | বুড়িমারী, পাটগ্রাম |
সেক্টর- ০৭ | মেজর কাজী নুরুজ্জামান | তরঙ্গপুর, পশ্চিমবঙ্গ |
সেক্টর- ০৮ | মেজর ওসমান চৌধুরী (অক্টোবর পর্যন্ত) মেজর এম. এ মনজুর (এপ্রিল-ডিসেম্বর পর্যন্ত) | বেনাপোল কল্যাণী, ভারত |
সেক্টর- ০৯ | মেজর আবদুল জলিল (এপ্রিল-ডিসেম্বর পর্যন্ত) | হাসনাবাদ, ভারত |
সেক্টর- ১০ | মুক্তিবাহিনীর ট্রেনিংপ্রাপ্ত নৌ-কমান্ডারগণ | নেই |
সেক্টর- ১১ | মেজর আবু তাহের (এপ্রিল-নভেম্বর) ফ্লাইট লেঃ এম হামিদুল্লাহ (নভেম্বর-ডিসেম্বর) | মহেন্দ্রগঞ্জ, আসাম |
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বিদেশি বন্ধুদের সম্মাননা
ঊইলিয়াম ওডারল্যান্ড
সায়মন ড্রিং
মাদার মেরিও ভেরেঞ্জি
জগজিৎ সিং অরোরা
কনসার্ট ফর বাংলাদেশ
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশি শরণার্থীদের পক্ষে জনমত গঠন ও তহবিল সংগ্রহের জন্য ১লা আগস্ট, ১৯৭১ সালে নিউইকের ম্যাডিসন স্কয়ারে আয়োজন করা হয় Concert for Bangladesh রবি শঙ্কর জর্জ হ্যারিসনকে বাংলাদেশ কনসার্টে যোগ দেবার আমন্ত্রণ জানান।
তারিখ | ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট |
---|---|
উদ্যোক্তা | ফোবানা |
স্থান | নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার, যুক্তরাষ্ট্র |
ব্যান্ডদল | দ্য বিটলস (লন্ডন) |
প্রতিষ্ঠাতা | জর্জ হ্যারিসন (ব্রিটিশ) ও রবি শঙ্কর (ভারতীয়) |
উদ্দেশ্য | বাংলাদেশী শরণার্থীদের জন্য তহবিল সংগ্রহ |
পরিচালক | পল সুইমার |
অন্যান্য শিল্পী | ওস্তাত আলী আকবর খান, বব ডিলান, এরিক ক্লাপটন, লিয়ন রাসেল |
দর্শক সংখ্যা ও আয় | ৪০ হাজার, ২.৫ লক্ষ ডলার |
মুক্তিযুদ্ধে বৃহৎ শক্তিবর্গের ভূমিকা
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বিশ্বব্যাপী বিরাজমান ছিল- স্নায়ুযুদ্ধ(ঠান্ডা লড়াই); বিশ্ব ছিল দুই ব্লকে বিভক্ত মার্কিন নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক ব্লক ও সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক ব্লক। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল- সমাজতান্ত্রিক ব্লক সোভিয়েত ইউনিয়ন, ভারত ও অধিকাংশ সমাজতান্ত্রিক দেশ। বাংলাদেশের বিপক্ষে ছিল- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।
১৯৭১ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলমান থাকায় মার্কিন সপ্তম নৌ বহর দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থান করেছিল। ৯ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন বঙ্গোপসাগরে ৭ম নৌবহর প্রেরণের নির্দেশ দেন। USS Enterprise জাহাজের নেতৃত্বে 'টাস্কফোর্স ৭৪' গঠন করে বঙ্গোপসাগর অভিমুখে যাত্রা করে। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতের নৌবহর INS Vikrant থাইল্যান্ডের সমুদ্রসীমা ব্যবহার করে প্রতিরক্ষা বলয় তৈরি করে এবং রাশিয়ার ৮ম নৌবহর বাল্টিক সাগর থেকে বঙ্গোপসাগর অভিমুখে যাত্রা করলে ৭ম নৌবহর বঙ্গোপসাগর ত্যাগ করে।
২৯ মার্চ, ১৯৭১ নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্স সভায় অ্যালেক ডগলাস হিউম পাকিস্তানকে সামরিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করার আহ্বান জানায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় শরণার্থীদের সহয়তা করে। ১৯৭১ পর্যন্ত শরণার্থীদের সহায়তার পরিমাণ ছিল প্রায় ১ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড।
জাতিসংঘ নারকীয় হত্যাযজ্ঞ, মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে 'ভেটো' ক্ষমতা সম্পন্ন পাঁচটি বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্রের বাইরে জাতিসংঘের নিজস্ব উদ্যোগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা ছিল সীমিত। তবে যুদ্ধ বিরতির জন্য জাতিসংঘে ৩ বার প্রস্তাব উত্থাপিত হয় । যথা :
সৌভাগ্যক্রমে USSR ৩ বারই ভেটো (অর্থ- আমি এটা মানি না) দেওয়ার ফলে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সফল হয়নি। যুদ্ধবিরতি না হওয়ায় বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে শেষ অবধি। তাই বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে USSR বাংলাদেশের পক্ষে ভেটো প্রদান করে ।
বীরত্বসূচক খেতাব (Gallantry Awards)
১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭৩ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খেতাব তালিকায় স্বাক্ষর করেন। তারপরের দিন সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাব প্রদান করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের খেতাবধারীর সংখ্যা
খেতাব | ১৯৭৩ [গেজেট] | বৰ্তমান | খেতাসূত্র |
---|---|---|---|
বীরশ্রেষ্ঠ | ৭ | ৭ | সর্বোচ্চ পদ |
বীর উত্তম | ৬৮ | ৬৭ | উচ্চপদ |
বীর বিক্রম | ১৭৫ | ১৭৪ | প্রশংসনীয় পদ |
বীর প্রতীক | ৪২৬ | ৪২৪ | প্রশংসাপত্র |
মোট | ৬৭৬ | ৬৭২ | * |
খেতাবের নাম | বিবরণ |
---|---|
বীরশ্রেষ্ঠ |
|
বীর উত্তম |
|
বীর বিক্রম |
|
বীর প্রতীক |
|
বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা
নরসিংদী
গাজীপুর
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
কিশোরগঞ্জ
স্কোয়াড্রন ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান
ল্যান্স নায়েক নূর মুহাম্মদ শেখ
১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের ঘটনাবলি
৩ ডিসেম্বর |
|
---|---|
৪ ডিসেম্বর |
|
৫ ডিসেম্বর |
|
৬ ডিসেম্বর |
|
১২ ডিসেম্বর |
|
১৩ ডিসেম্বর |
|
১৪ ডিসেম্বরে শহীদ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীদের নাম-
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ
১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ভারতের সেনাপ্রধান মানকেশ পাকিস্তানকে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯ টার মধ্যে আত্মসমর্পণের জন্য সময়সীমা নির্দিষ্ট করে ঢাকায় পাকিস্তানি জেনারেল হামিদ নিয়াজিকে জানান। ১৬ ডিসেম্বর সকাল সোয়া ৯ টায় জেনারেল জ্যাকবকে আত্মসমর্পণ দলিল ঠিক করতে ঢাকায় পাঠানো হয়। পাকিস্তান আত্মসমর্পণের পরিবর্তে 'যুদ্ধ বিরতি করতে চাইলে জ্যাকব সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকেন।
জেনে নিই
বিবিধ:
বাংলাকে স্বীকৃতি দানকারী বিভিন্ন দেশ
স্বীকৃতি | দেশের নাম ও সময় |
---|---|
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশ | ভুটান (৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১) |
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী দ্বিতীয় দেশ | ভারত (৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১) |
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম আরব দেশ | ইরাক (৮ জুলাই, ১৯৭২) |
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম অনারব মুসলিম | মালয়েশিয়া (২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২) |
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম ইউরোপের দেশ | পূর্ব জার্মানি (১১ জানুয়ারি, ১৯৭২) |
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম আফ্রিকান দেশ | সেনেগাল (১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২) |
দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম স্বীকৃতি দেয় | ভেনিজুয়েলা (২ মে, ১৯৭২) |
উত্তর আমেরিকান দেশসমূহের মধ্যে প্রথম | বার্বাডোস (২০ জানুয়ারি, ১৯৭২) |
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম ওশেনিয়ার দেশ | টোঙ্গা (২৫ জানুয়ারি, ১৯৭২) |
স্বাধীন বাংলাদেশকে রাশিয়া স্বীকৃতি দান করে | ২৪ জানুয়ারি, ১৯৭২ |
স্বাধীন বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দান করে কবে | ৪ এপ্রিল, ১৯৭২ |
স্বাধীন বাংলাদেশকে চীন স্বীকৃতি দান করে | ৩১ আগস্ট, ১৯৭৫ |
পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দান করে | ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪ |
সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসাবে প্রথম স্বীকৃতি দেয় | পোল্যান্ড (১২ জানুয়ারি, ১৯৭২) |